ডিজিটাল কৌতূহলের বিষয়ে উৎসাহিত করা

Richard Culatta (রিচার্ড কুলাট্টা)

প্রযুক্তিকে টুল হিসাবে ব্যবহার করার জন্য কিশোর-কিশোরীদের কৌতূহল বাড়ালে, তাতে ভালো কাজ দেয় এবং এটি হলো কৌতূহল বাড়ানোর অন্যতম সেরা একটি উপায়। কিশোর-কিশোরীরা তাদের মা-বাবা এবং শিক্ষকদেরও এমনটা করতে দেখলে, তারাও ডিজিটাল বিশ্বকে একটি অত্যন্ত শক্তিশালী শিক্ষণীয় জায়গা হিসাবে চিনতে শুরু করবেন, যেখানে তারা সব ধরনের প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাবেন। এই ডিজিটাল বিশ্বে উন্নতি করার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতাগুলোর একটি হলো লার্নিং এক্সপ্লোরার বা শিক্ষা সন্ধানী হয়ে ওঠা। প্রায় সবসময় ও একাধিক উপায়ে ডিজিটাল কৌতূহলকে উৎসাহ দেওয়া যেতে পারে।


শিশুরা স্বভাবতই কৌতূহলী হয়। তারা যে কোনো বিষয়ে প্রশ্ন করে, আর এটাই হলো তাদের চারপাশের পরিবেশ সম্পর্কে জানার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। মা-বাবা হিসাবে, ডিজিটাল কৌতূহলকে উৎসাহিত করতে আমরা তাদের এই জিজ্ঞাসু মনের সুবিধা নিতে পারি। যখন কোনো শিশু প্রশ্ন করে "আজ রাতে চাঁদকে কমলা দেখাচ্ছে কেন?" বা "এটা কোন ধরনের বাগ?", আমরা সেই সময়ে তাদের উত্তর খোঁজার জন্য অনলাইন টুলের শক্তি দেখাতে পারি। "চলো, এটা খুঁজে দেখি" বা "আমি বাজি ধরে বলতে পারি, অনলাইনে আমরা এর উত্তর খুঁজে পাব" এমন উত্তর দিয়ে ডিজিটাল বিশ্বকে তাদের কৌতূহলের সাথে জুড়তে সাহায্য করুন, যাতে তারা প্রযুক্তিকে জ্ঞান অর্জনের একটি হাতিয়ার হিসাবে চিনতে শুরু করে। এই ক্ষেত্রে আমরা তাদের সাথে সার্চ টার্মের ধরন সম্পর্কে কথা বলতে পারি, যেটা সবচেয়ে কার্যকর ফলাফল পেতে সাহায্য করতে পারে।


কোনো উত্তর খুঁজতে কিশোর-কিশোরীদের ডিজিটাল সোর্স ব্যবহার করার জন্য উৎসাহ দেওয়ার পাশাপাশি, তাদের জন্য কোন ধরনের তথ্য সবচেয়ে বেশি মূল্যবান তা চিনতেও আমাদের তাদের সাহায্য করতে হবে। আমরা ডিজিটাল রিসোর্স বা ডিজিটাল কনটেন্টের উৎস, তারিখ ও উদ্দেশ্য দেখে তাদের বুঝতে সাহায্য করতে পারি, যে কোন ডিজিটাল তথ্য অন্যদের চেয়ে বেশি নির্ভরযোগ্য। শুরুর দিকে কোনো কিছু সম্পর্কে জানার জন্য Wikipedia-র মতো সাইটগুলো ভালো কাজ দেয় (অল্পবয়সী পাঠকদের জন্য উইকিপিডিয়ার একটি সহজ ইংরেজি সংস্করণও রয়েছে) এবং কিশোর-কিশোরীরা সেখান থেকে বেশি নির্ভরযোগ্য উৎস সম্পর্কে আরও ভালো করে জানতে পারেন।


ডিজিটাল কৌতূহল বাড়ানোর অংশ হিসাবে, সার্চ ইঞ্জিন ছাড়াও কিশোর-কিশোরীদের আগ্রহের সাথে মেলে এমন বিভিন্ন ধরনের বিশেষ অ্যাপ ও ওয়েবসাইট কীভাবে চিনতে হয়, তা জানাও খুব ভালো কাজ দেয়। আমরা যেভাবে অল্পবয়সী পাঠকদের কাছে নতুন বইয়ের সুপারিশ করি, ঠিক সেভাবেই সাহায্যকারী প্রাপ্তবয়স্কদেরও (মা-বাবা, অভিভাবক ইত্যাদি) কিশোর-কিশোরীদের জন্য ভালো অ্যাপ আর ওয়েবসাইটের সুপারিশ করা উচিত। আমার ছেলেকে যখন মহাকাশের বিষয়ে খুব আগ্রহী বলে মনে হয়েছিল, তখন আমি তাকে সেই বিষয়ে আরও জানতে সাহায্য করার জন্য Sky Guide-এর মতো একটি অ্যাপ ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছিলাম। এই অ্যাপটির সাহায্যে ফোনকে আকাশের দিকে তুলে, আমরা জানতে পারি যে আমাদের বাড়ির উপরে থাকা উজ্জ্বল বস্তুটি আসলে শুক্র গ্রহ আর সেটি আমাদের থেকে 162 মিলিয়ন মাইল দূরে আছে। এরপর, আমরা Wikipedia-তে পৃথিবীর পরিধি জানি (প্রায় 25,000 মাইল) আর হিসাব করে জানতে পারি যে 162 মিলিয়ন মাইল হলো পৃথিবীর চারপাশে প্রায় 6,500 বার ঘোরার সমান। আলোর গতি (প্রতি সেকেন্ডে প্রায় 300,000 কিলোমিটার) সম্পর্কে জানতে আমরা Wolfram Alpha অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারি এবং জানতে পারি যে এই মুহূর্তে আমরা যে আলো দেখছি তা শুক্র গ্রহ থেকে আমাদের চোখ পর্যন্ত আসতে প্রায় 15 মিনিট সময় লাগে।


সবশেষে, মনে রাখবেন ডিজিটাল বিশ্বের প্রতি কৌতূহল বাড়ানো শুধুমাত্র তথ্যের সাথে সংযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রেই জড়িত নয় বরং অন্য লোকেদের সাথে সংযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রেও তা জড়িত। যদি কোনো নির্দিষ্ট প্রশ্ন বা আগ্রহের বিষয় থাকে তবে, আমাদের নেটওয়ার্কে থাকা অন্যান্য লোকেরা সেই সম্পর্কে কী বলছেন তা জানতে আপনি Facebook-এ বা কোনো কমিউনিটি অ্যাপে প্রশ্নটি পোস্ট করতে পারেন। সৃজনশীল হতে আর শিক্ষা অর্জনে উৎসাহিত করতে প্রযুক্তির ব্যবহার করলে, তা আমাদের সন্তানদের এমন একটি বিশ্বে সফল হতে সাহায্য করে যেখানে কোনো তথ্যের উত্তর খোঁজার ক্ষমতা হলো জীবনের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা। এমনকি দৃষ্টান্ত হিসাবে আমরা নিজেরাও কোনো প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ডিজিটাল টুল ব্যবহার করলে, তাতে আমাদের কিশোর বয়সী সন্তানরাও তাদের ডিজিটাল ডিভাইসকে শুধুমাত্র বিনোদনের জন্য ব্যবহার না করে শেখার টুল হিসাবে ব্যবহার করতে শিখবেন।

আপনার লোকেশন হিসাবে নির্দিষ্ট কনটেন্ট দেখতে আপনি কি অন্য কোনো দেশ বা অঞ্চল বেছে নিতে চাইবেন?
পরিবর্তন করুন