অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সময় কাটানোর ভারসাম্য বোঝ

সমস্ত ধরনের স্ক্রিন টাইম একরকম নয়।

ছোটোদের জন্য (এবং সবার জন্যই!) অনলাইনে ও অফলাইনে সময় কাটানোর মধ্যে সঠিক ভারসাম্য খোঁজা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের জীবনের বেশিরভাগ ক্ষেত্র যেহেতু ক্রমশ প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে উঠছে, তাই আমরা অনলাইনে যে সময় কাটাই তার পরিমাণ ও গুণমানের দিকে নজর দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

সর্বদাই: প্রথম পদক্ষেপ হলো কথোপকথন। কিশোর-কিশোরীরা অনলাইনে কোথায় সময় কাটাচ্ছেন, সেই সম্পর্কে মা-বাবাদের স্বচ্ছ ধারণা থাকা উচিত এবং সেই সময় তারা ভালো কিছু করার জন্য সময় কাটাচ্ছেন কি না তা নিয়ে তাদের সাথে কথা বলা উচিৎ।

সবার আগে: এটা ভালো ভাবে বোঝার চেষ্টা করুন যে এই প্রযুক্তি ও ইন্টারনেট ব্যবহার করা নিয়ে তিনি কী ভাবছেন। আপনার কিশোর বয়সী সন্তান অনলাইনে কীভাবে সময় কাটাতে পছন্দ করেন সেই সম্পর্কে বিশদে জানলে, অনলাইন ও অফলাইন কার্যকলাপের ক্ষেত্রে আপনি তাকে নিজের সুস্থ ভারসাম্য খুঁজে পেতে সাহায্য করতে পারবেন।

কিশোর-কিশোরীদের স্ক্রীন টাইম (ডিভাইস ব্যবহার করার সময়) পরিচালনা করতে সাহায্য করার পরামর্শ

যদিও আপনার কিশোর বয়সী সন্তানের সঙ্গে তার ইন্টারনেট ব্যবহার নিয়ে কথা বলার জন্য কোনো নির্দিষ্ট সেরা উপায় নেই, তবে কিছু উপায় আছে যার মাধ্যমে আপনি কথোপকথন শুরু করতে পারেন। যদি আপনি লক্ষ্য করেন যে স্ক্রিনের সামনে সময় কাটানোর জন্য আপনার কিশোর বয়সী সন্তানের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে, তাহলে উপযুক্ত সময়ে তার সঙ্গে সেই বিষয়ে কথা বলুন।

সেরা উপায়ের মধ্যে একটি ভালো বিকল্প হলো সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে, অনলাইনে তিনি ইতিমধ্যেই যে সময় কাটিয়েছেন তা নিয়ে তিনি কী ভাবছেন, প্রথমে তা বোঝার চেষ্টা করা। তা বুঝতে, আপনি নিচে দেওয়া প্রশ্নগুলোর মতো প্রশ্ন করতে পারেন:

  • তোমার কি মনে হয়, তুমি অনলাইনে খুব বেশি সময় কাটাচ্ছ?
  • অনলাইনে তুমি যে সময় কাটাচ্ছ, তার জন্য কি তোমার অন্যান্য কর্তব্য পালন করতে অসুবিধা হচ্ছে?
  • তুমি যে সময় কাটাচ্ছ তা তোমাকে কীভাবে প্রভাবিত করছে (মানসিকভাবে নাকি শারীরিকভাবে)?

যদি প্রথম দুটি প্রশ্নের উত্তর "হ্যাঁ" হয় তাহলে আপনার কিশোর বয়সী সন্তান অনলাইনে কাটানো সময় নিয়ে কী ভাবছেন সেই সম্পর্কে আপনি ইঙ্গিত পাবেন। সেখান থেকে, আপনি তাকে সেই সময়টি যথাযথভাবে ব্যয় করা এবং পাশাপাশি ফলপ্রসূ অফলাইন কাজকর্ম করার মধ্যে ভারসাম্য তৈরি করার ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারবেন।

আপনি নিচে দেওয়া ফলো-আপ প্রশ্ন করতে পারেন:

  • তুমি সকালে ফোন না দেখে কতক্ষণ থাকতে পারো?
  • ফোন ছাড়া কি তোমার বিভ্রান্ত বা উদ্বিগ্ন লাগে?
  • তুমি যখন বন্ধুদের সাথে সময় কাটাও, তখন কি খুব বেশি ফোন নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করো?
  • কোন ধরনের অফলাইন কাজকর্ম তুমি মিস করো?
  • আরও এমন কিছু আছে কি যা নিয়ে তুমি আরও সময় কাটাতে চাও?

অফলাইনে আগ্রহের বিষয় খোঁজ

স্ক্রীন টাইম কমানোর একটি ভালো উপায় শুধু ফোন সরিয়ে রাখাই নয়, বরং সেই সময় অফলাইনে অর্থপূর্ণ ও মজাদার কিছু করা।

যদি আপনার কিশোর বয়সী সন্তানের শিল্পকলা, গানবাজনা, বই পড়া, কোনো জিনিস তৈরি করা, খেলাধুলা বা এমন কোনো কিছুতে আগ্রহ থাকে যার সাথে স্ক্রীন টাইমের সম্পর্ক নেই, তাহলে তাকে সেই বিষয়ে সাহায্য করুন! তিনি যা করছেন, তাতে উৎসাহ দেখিয়ে তার আগ্রহ বাড়িয়ে তুলুন। অল্পবয়সী ছেলেমেয়েরা স্বস্তি পেতে বা মাঝে মধ্যে একঘেয়েমি থেকে রেহাই পেতে, ফোন ব্যবহার করতে পারে। চেষ্টা করুন এই ধরনের অনুভূতিগুলো সবসময় যাতে সে এড়িয়ে যেতে না পারে। একটু অস্বস্তি বা একঘেয়েমি হলে, অল্পবয়সী ছেলেমেয়েরা যে অনুভূতির মধ্যে দিয়ে যায়, তা তাদের অন্যভাবে বড় করে তুলতে পারে।

বেশীরভাগ সময় অল্পবয়সী ছেলেমেয়েরা অনলাইনে যে সব জিনিস, প্রসঙ্গ বা ক্রিয়েটরদের অনুসরণ করেন, তা অফলাইনে তাদের আগ্রহের বিষয়গুলোর ইঙ্গিত দেয়।

উদাহরণ, যদি তিনি এমন ক্রিয়েটরদের অনুসরণ করেন, যারা তাকে নিজে নিজে রান্না করা, নাচ করা বা অন্য কোনো কারিগরি বিষয়ে শেখান, তাহলে তাকে তার মধ্যে থেকে কিছু টিউটোরিয়াল ঘরে বা বন্ধুদের সাথে হাতেকলমে করতে উৎসাহিত করুন। যাতে সে সামঞ্জস্য বজায় রাখতে পারে এবং অনলাইন জগৎ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে বিভিন্ন মজাদার অফলাইন অ্যাক্টিভিটির মাধ্যমে নিজেকে প্রকাশ করতে পারে সে ব্যাপারে সাহায্য করুন।

তার জীবন সম্পর্কে আগ্রহী হয়ে, আপনি অফলাইনে তার আগ্রহের বিষয়গুলিতে উৎসাহ দিতে ও সামগ্রিক স্ক্রীন টাইম কমাতে সাহায্য করতে পারেন।

নতুন নতুন আইডিয়া দরকার কি? আপনার কিশোর বয়সী সন্তানকে সামঞ্জস্য বজায় রাখতে সাহায্য করার জন্য এখানে কিছু অ্যাক্টিভিটি রয়েছে:

Meta Get Digital: কিশোর-কিশোরীদের সুস্থ থাকার কার্যকলাপ বা অ্যাক্টিভিট

সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভারসাম্য খোঁজ

Instagram-এ কিছু কার্যকরী টুল রয়েছে যা অ্যাপটিতে বাবা-মা ও কিশোর-কিশোরীদের ইতিবাচক অভিজ্ঞতা তৈরি করতে সাহায্য করে। উদাহরণ, আপনি যেমনInstagram-এ সবচেয়ে ভালোভাবে সময় কাটানোর ব্যাপারে নিজের কিশোর বয়সী সন্তানের সাথে কথা বলেন, তেমনভাবেই যে টুলগুলো ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে তা নিয়েও কথা বলুন, যেমন যে টুলগুলো অ্যাপে দৈনিক সময়সীমা সেট করা বা বিরতি নিতে মনে করিয়ে দেয়।

আপনি এখানে সেই সব টুলগুলো খুঁজে পাবেন:

Instagram - দৈনিক সময়সীমা সেট করুন

Instagram - বিরতি নিন

অল্পবয়সী কিশোর-কিশোরীর ক্ষেত্রে, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রাথমিক অভিজ্ঞতা লাভের সময় আপনি তাকে সাহায্য করতে পারেন। Instagram-এ ইতিবাচক ও সামঞ্জস্যপূর্ণ অভিজ্ঞতা তৈরি করতে, উপলভ্য বিভিন্ন তত্ত্বাবধান টুল ব্যবহার করুন। আপনার কিশোর বয়সী সন্তানের সাথে কথা বলার সময় Instagram-এ কাটানো সময়ের পরিমাণ ও গুণমানের মধ্যে ভারসাম্য রাখা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা নিয়ে কথা বলুন। সুস্থ ভারসাম্য বজায় রাখার ব্য়াপারে সম্মত হোন এবং তত্ত্বাবধান টুলগুলো একসাথে সেট আপ করুন।

Instagram-এর তত্ত্বাবধান টুলগুলো আপনাকে আপনার কিশোর বয়সী সন্তানের ফলোয়ার এবং ফলোয়িংয়ের লিস্ট দেখতে, অ্যাপ ব্যবহারের দৈনিক সময়সীমা সেট করতে এবং তার ইনসাইট দেখতে সাহায্য করে।

Instagram - তত্ত্বাবধান টুল

আপনার কিশোর বয়সী সন্তানকে ভারসাম্য খুঁজতে সাহায্য করার জন্য Meta-র প্রোডাক্ট ও রিসোর্স সংক্রান্ত তথ্য সম্পর্কে আরও জানুন:

Facebook - সময়সীমা সেট করুন

সম্পর্কিত বিষয়গুল

আপনার লোকেশন হিসাবে নির্দিষ্ট কনটেন্ট দেখতে আপনি কি অন্য কোনো দেশ বা অঞ্চল বেছে নিতে চাইবেন?
পরিবর্তন করুন