তথ্য পাওয়ার ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়া দুর্দান্ত উৎস হতে পারে, তবে এর মানে এই নয় যে এখানে পাওয়া সব তথ্যই সঠিক বা বিশ্বাসযোগ্য। খারাপ কনটেন্টের মধ্যে থেকে ভালোটা বেছে নিতে, মা-বাবাদের তাদের কিশোর-কিশোরী সন্তানকে তার অনলাইন মিডিয়া লিটারেসি অর্থাৎ সোশ্যাল মিডিয়ার কনটেন্ট সম্পর্কিত জ্ঞান লাভ করতে সাহায্য করতে হবে।
প্রাপ্তবয়স্কদের মতো, কিশোর-কিশোরীদেরও দক্ষ হতে হবে যাতে তারা বুঝতে পারেন যে কোন তথ্য বিশ্বাসযোগ্য ও কোনটি নয়, মিডিয়াতে বা ছবিতে কারসাজি করা হয়েছে কি না এবং সত্যি নয় বা যাচাই করা যায় না এমন কনটেন্ট অনলাইনে শেয়ার না করার মতো ভালো অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
মিডিয়া লিটারেসি অর্থাৎ সোশ্যাল মিডিয়ার কনটেন্ট সম্পর্কিত জ্ঞান লাভের পরামর্শ
আপনি যে তথ্য দেখছেন তা বিশ্বাসযোগ্য কি না, তা কখনই সরাসরি জানা সহজ হয় না। তবে বাস্তব জগতের মতো অনলাইনেও, কোন তথ্য বা কনটেন্ট সঠিক আর বিশ্বস্ত এবং কোনটি নয়, সেই সম্পর্কে অল্পবয়সী ছেলেমেয়েদের ধারণা তৈরি করতে সাহায্য করার জন্য আপনি কিছু প্রাথমিক পদক্ষেপ নিতে পারেন।
আসুন সেই প্রাথমিক পদক্ষেপগুলো দিয়ে শুরু করা যাক: কোনো কনটেন্টের সাথে জড়িত হওয়ার বা তা শেয়ার করার আগে, নিচে দেওয়া পাঁচ ধরনের প্রশ্নের সাহায্যে আপনার কিশোর-কিশোরী সন্তানকে কনটেন্ট বুঝতে সাহায্য করুন: কে বা কারা? কী? কোথায়? কখন? এবং কেন?
তবে মনে রাখবেন, এগুলো ছাড়াও আরও অনেক পরামর্শ আছে। ইন্টারনেটে কোন তথ্য বিশ্বাস করা যায় এবং কোন তথ্য বিশ্বাস করা যায় না, সেই সম্পর্কে কিশোর-কিশোরীদের ভালো ধারণা তৈরি করতে সময় লাগবে। আপনার কিশোর-কিশোরী সন্তানের সাথে অনলাইনে সময় কাটানোর অভ্যাস করুন এবং তাকে এমন ভাবে গাইড করুন যাতে তিনি অনলাইনে যা পড়েন, তৈরি করেন, জড়িত হন বা শেয়ার করেন সেই সম্পর্কে যাচাই করে নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
সাহায্য করার আরও উপায়
অনলাইন কনটেন্ট কীভাবে ভালো করে যাচাই করতে হয়, সেই বিষয়ে কিশোর-কিশোরী ও অল্পবয়সী ছেলেমেয়েদের দক্ষতা বাড়াতে উপরে উল্লেখ করা পাঁচ ধরনের প্রশ্ন ব্যবহার করার সাথে আরও কয়েকটি উপায়ে তাদের সাহায্য করতে পারেন।
কথাবার্তা বলা চালিয়ে যান
মিডিয়া লিটারেসি অর্থাৎ সোশ্যাল মিডিয়ার কনটেন্ট সম্পর্কে কীভাবে জানতে হয়, সেই অভ্যাস বাড়িতেই তৈরি হয়। এবং তা একবার করলেই হয় না, ধারাবাহিক ভাবে চালিয়ে যেতে হয়। কিশোর-কিশোরী ও অল্পবয়সী ছেলেমেয়েরা যাতে অনলাইন তথ্যের বিষয়ে খোঁজখবর নিতে পারেন, তার জন্য সাহায্য করতে মা-বাবাদের সময় লাগে এবং চেষ্টা করতে হয়। এই জানার অভ্যাসটি একসাথে করলে এবং সাধারণ কথা বলার মতো করে করলে, তা আরও বেশি কার্যকর হয়। তার সাথে নিচের বিষয়ে কথা বলুন, যেমন:
মিডিয়া লিটারেসি অর্থাৎ সোশ্যাল মিডিয়ার কনটেন্ট সম্পর্কে জানার জন্য অনুশীলন
বিশ্বাসযোগ্য উৎস কীভাবে চিনবেন, সেই সম্পর্কে আপনার কিশোর-কিশোরী সন্তানের সাথে কাজ করার জন্য এখানে একটি উপায় ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এই কাজটি করলে অনলাইনে উৎস ও তথ্য যাচাই করার অনুশীলন করতে আপনাদের সুবিধা হবে।
মনে রাখবেন, এই কাজটি আপনাদের অবশ্যই একসাথে করতে হবে।
এটা করতে সময় লাগবে, তবে আপনি সহায়তা করলে এবং দুজনে মিলে একটু অনুশীলন করলেই আপনার কিশোর-কিশোরী সন্তান অনলাইনে যে তথ্য দেখেন, তা যাচাই করার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা তিনি শিখতে পারবেন এবং ভুল তথ্য ছড়িয়ে যাওয়া আটকাতে সাহায্য করতে পারবেন।