যখন ইন্টারনেটই ‘বাস্তব দুনিয়া’ হয়ে ওঠে
বাস্তব দুনিয়ায় লোকজন যখন সামনাসামনি কথা বলেন, তখন তারা একে অপরকে বোঝার জন্য বেশ কিছু সামাজিক সংকেত ব্যবহার করতে পারেন, যেমন তাদের কণ্ঠস্বরের ওঠানামা বা চোখমুখের অভিব্যক্তি পরিবর্তন করা ইত্যাদি। লোকজন যখন একে অপরের সাথে অনলাইনে যোগাযোগ করেন, তখন এই সংকেতগুলো কখনও কখনও অনুপস্থিত থাকতে পারে, যার ফলে মানুষের মনে উদ্বেগ তৈরি হতে পারে বা আঘাত লাগতে পারে আর ঠিক তখনই লোকজন একে অপরকে ভুল বোঝেন।
এই কারণেই প্রত্যেকের জন্যই, বিশেষত অল্পবয়সী ছেলেমেয়েদের জন্য কখনও কখনও অনলাইনে তারা যে ইন্টার্যাকশন দেখেন বা করেন, সেই জটিল পরিস্থিতি বোঝার জন্য গাইড করার প্রয়োজন হয়। ইন্টারনেট বা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করার সময় কীভাবে ভালো অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়, সেই বিষয়ে দক্ষতা বাড়াতে মা-বাবারা কিশোর বয়সী সন্তানদের সাহায্য করতে পারেন। এছাড়াও, মা-বাবারা সন্তানের সহনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারেন, যাতে তার সন্তান এমন ঘটনা তার সাথে ঘটলে (যদি তা এড়ানো না যায়), অতীতের নেতিবাচক অভিজ্ঞতা ভুলে যেতে পারেন।
তবে এই পরামর্শগুলো ছাড়াও, আপনার সন্তান যাতে যে কোনো পরিস্থিতি নিয়ে আপনার সাথে কথা বলতে পারেন, তাকে সেই সুযোগ করে দিন। তাকে এটি বোঝানো জরুরি যে সমস্যা যাই হোক না কেন, তিনি তা নিয়ে আপনার সাথে কথা বলতে ও সাহায্য চাইতে পারবেন। এবং তিনি তা করলে, আপনি তাকে নানা উপায়ে সাহায্য করতে পারবেন। সেটা করার প্রথম ধাপটাই হলো তার কথা শোনা আর তাহলেই আপনি তার সমস্যাটা বুঝে তাকে সেটার প্রসঙ্গ বুঝতে সাহায্য করতে পারবেন।
অনলাইন ইন্টার্যাকশন এবং সহনশীলতা তৈরি করা
নিজেদের মধ্যে কথা বলার মাধ্যমে সমাধান করার উপায় খোলা রেখে, আপনার কিশোর বয়সী সন্তানকে বুঝতে সাহায্য করতে পারেন যে, অনলাইন হোক বা অফলাইন, মূল নিয়মটি দুক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হয় অর্থাৎ লোকজনের সাথে তিনি যে আচরণ করতে চান, তিনি যেন সেই আচরণই করেন।
তা আপনি কারও সাথে কথা বলুন বা তাকে DM করুন, তাকে চিঠি লিখুন বা তার পেজে কমেন্ট পোস্ট করুন, আবেগ প্রকাশ করার বিষয়টি প্রায় একই থাকে। ঠিক যেমন, ভালো ভালো কথা বলে আপনি কারও মন ভালো করতে পারেন আবার ঠিক উল্টোভাবে অপমান করে তার অনুভূতিতে আঘাতও দিতে পারেন।
আর এখানেই মা-বাবার বিশেষ দায়িত্ব থাকে। অনলাইনে আপনার কিশোর বয়সী সন্তানের যদি নেতিবাচক বা উত্তেজিত কথাবার্তার অভিজ্ঞতা হয়, তাহলে কী ঘটেছে সেই সম্পর্কে জেনে আপনি তাকে সেই সমস্যার সমাধান খুঁজতে সাহায্য করতে পারেন। তার অভিজ্ঞতার বিষয়ে আপনি কী করতে পারেন তা জানুন, তার অনুভূতির সম্পর্কে শুনুন এবং কীভাবে কথা বললে তাকে সেই সমস্যার ভালো সমাধান দিতে পারবেন তা বুঝুন।
আর এসবই হলো সহনশীলতার বিষয়ে দক্ষতা আনার অংশ, অর্থাৎ খারাপ কিছু তার সাথে ঘটলে তা থেকে তিনি যাতে বেরিয়ে আসতে পারেন।
কথাবার্তা বলা চালিয়ে যান
কিশোর-কিশোরী ও অল্পবয়সী ছেলেমেয়েরা কীভাবে অনলাইনে ইতিবাচক ইন্টার্যাকশন করতে পারবেন, সেই বিষয়ে তাদের সাহায্য করতে দীর্ঘ প্রক্রিয়ার প্রয়োজন হতে পারে। যে প্রক্রিয়ায় সময়ের সাথে সাথে তাদের সাথে অনেক কথাবার্তা বলতে হতে পারে। কথাবার্তা শুরু করার প্রয়োজন হলে, নিচে দেওয়া উদাহরণমূলক প্রসঙ্গ ব্যবহার করতে পারেন: