সারা দেশের অসংখ্য শিক্ষার্থীদের কাছে হেনস্থা একটি বড় সমস্যা এবং LGBTQ+ কমিউনিটির অল্পবয়সীরা প্রায়শই তাদের বিষমকামী বন্ধু-বান্ধবদের থেকে বেশি হেনস্থার শিকার হন। LGBTQ+ কমিউনিটির অল্পবয়সীদের ডিজিটাল পদ্ধতিতে অন্যদের সাথে সংযুক্ত হওয়ার যেমন বেশ কিছু সুবিধা আছে, তেমনই এর ফলে তাদের বিপদে পড়ার ঝুঁকিও বেড়ে যেতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ও সারা বিশ্বে অর্ধেক মেয়েরা জানিয়েছেন যে রাস্তার তুলনায়, সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের হয়রানির শিকার হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। যেসব মেয়েরা অনলাইনে হয়রানির শিকার হয়েছেন, তাদের মধ্যে 47% জনকে শারীরিক বা যৌন নির্যাতনের হুমকি দেওয়া হয়েছে। CDC অনুসারে, 33% মিডল স্কুল পড়ুয়া এবং 30% হাই স্কুল পড়ুয়া সাইবার বুলিয়িং বা সাইবার হেনস্থার শিকার হয়েছেন। The Trevor Project-এর মতে, মিডল ও হাই স্কুল পড়ুয়া LGBTQ কমিউনিটির অল্পবয়সীদের 42% গত বছর সাইবার বুলিয়িং বা সাইবার হেনস্থার শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। এই সমীক্ষায় আরও জানা গেছে, 35% সিসজেন্ডার LGBQ শিক্ষার্থীদের তুলনায় 50% ট্রান্সজেন্ডার বা নন-বাইনারি অল্পবয়সীরা বেশি পরিমাণ সাইবার বুলিয়িং বা সাইবার হেনস্থার অভিযোগ জানিয়েছেন।ধমকানি, আত্ম-পরিচয় ও আত্ম-সম্মান এবং পারিবারিক সমস্যার মতো বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হওয়া LGBTQ+ কমিউনিটির অল্পবয়সীদের সহায়তা প্রদান করার সময় বিবেচনা করার মতো রিসোর্স ও নির্দেশিকা রয়েছে।
LGBTQ+ কমিউনিটির অল্পব্যসীদের সহায়তা প্রদান করতে আগ্রহী শিক্ষাবিদ ও অ্যাডমিনিস্ট্রেটদের এই কাজ শুরু করতে সাহায্য করার জন্য এখানে কিছু রিসোর্স দেওয়া হলো। অন্যান্য সব বিষয়ের মতোই, LGBTQ+ কমিউনিটির অল্পবয়সীদের সমস্যা কীভাবে মোকাবিলা করা হবে সেই বিষয়ক স্কুল ডিস্ট্রিক্ট এবং স্থানীয় ও যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের আইন ও উপ-আইনও অনেক ক্ষেত্রেই আলাদা হয়। তাই আপনার প্রতিষ্ঠানে এই ধরনের বিশেষ কোনো সমস্যাজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে, স্থানীয় বিশেষজ্ঞদের সাথে যোগাযোগ করা জরুরি।
আপনার অঞ্চলের LGBTQ+ কমিউনিটির অল্পবয়সীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নীতি, নিয়ম ও রিসোর্স সম্পর্কে জানুন, যেমন:
- বোস্টক বনাম ক্লেটন কাউন্টি (2020) কেসের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে লিঙ্গ পরিচয় বা যৌন অভিমুখিতার ভিত্তিতে বৈষম্য নিষিদ্ধ করার কথা বলা হয়েছে।
- টাইটেল IX নামের যুক্তরাষ্ট্রীয় আইন, যৌন অভিমুখিতা বা লিঙ্গ পরিচয়ের ভিত্তিতে বৈষম্যের হাত থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষিত রাখে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রীয় আইনকে স্টেট চ্যালেঞ্জ করবে, তবে ফেডারেল আইন অনুসারে শেষ পর্যন্ত LGBTQ+ অল্পবয়সী ছেলেমেয়েদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য সুরক্ষা পরিচালিত হতে পারে।
- সুরক্ষা এবং দেশ জুড়ে রাজ্যের আইন সম্পর্কে তথ্য গে, লেসবিয়ান অ্যান্ড স্ট্রেট এডুকেশন নেটওয়ার্ক (GLSEN) নেভিগেটর-এ পাওয়া যাবে। এখানে মানচিত্র দেখানো হয়েছে যার মধ্যে স্টেট পলিসি স্কোরকার্ড, অ-বৈষম্যমূলক ডিসক্লোজার এবং ট্রান্স ও নন-বাইনারি খেলোয়াড়দের অন্তর্ভুক্ততা বিষয়ক নীতি এবং আরও অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য রয়েছে।
LGBTQ+ যুবক-যুবতীদের জন্য কীভাবে আরও সহায়ক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ প্রদান করা যায়, সেই ব্যাপারে জানতে কিটের অনুরোধ করুন অথবা এইসব সংস্থার থেকে তা ডাউনলোড করুন:
স্কুলের পরিবেশে হেনস্থা বা সাইবার বুলিয়িংয়ের মতো ঘটনার মোকাবিলা করতে, LGBTQ+ শিক্ষার্থীদের সুরক্ষামূলক সহায়তা করুন।
- LGBTQ+ অল্পবয়সী ছেলেমেয়েরা তাদের বিষমকামী বন্ধু-বান্ধবদের কাছ থেকে বেশি হেনস্থার ঘটনার অভিযোগ জানিয়েছেন (58% বনাম 31%)। এছাড়া, LGBTQ+ কমিউনিটির অল্পবয়সীরা নিরাপত্তাজনিত কারণে বেশি স্কুল কামাই করেন।
- ন্যাশনাল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশন কুইয়ার+ ককাস সংস্থাটি শিক্ষাবিদ ও অ্যাডমিনিস্ট্রেটরদের জন্য স্কুলে আইডি ব্যাজের সাথে পরার জন্য “I’m Here” ব্যাজ (মূল্য $2.00) দেয়। এই ব্যাজ পরা প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকে দেখে বোঝা যায় যে ক্যাম্পাসে তার সাথে যে কোনো সময় ধমকানি বা সাইবার বুলিয়িংয়ের মতো ঘটনা সহ যে কোনো LGBTQ+ বিষয়ক সমস্যার কথা নিঃসঙ্কোচে বলা যাবে।
শিক্ষাজগতে সক্রিয়ভাবে সাইবার বুলিয়িং শনাক্ত ও প্রতিরোধ করুন।
পরিবারের সদস্যদের সাথে শেয়ার করার জন্য Meta তার এডুকেশন হাব-এ বিভিন্ন ধরনের রিসোর্স দেয়: