আপনার সন্তানের সাথে তার ডিজিটাল ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে, কথোপকথন শুরু করা
Meta
14 এপ্রিল, 2023
আমাদের বাচ্চাদের সাথে ধারাবাহিকভাবে খোলামেলা কথোপকথন করা তার ডিজিটাল কল্যাণের বিকাশের ক্ষেত্রে অপরিহার্য। অনলাইন নিরাপত্তা সেই কথোপকথনের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হওয়া উচিত, কিন্তু শুধুমাত্র নিরাপত্তাই নয়, ডিজিটাল কল্যাণের অন্য সব দিকও এতে সামিল করতে আমাদের কথোপকথনের বিষয় সম্পর্কিত ব্যাপারে যথেচ্ছ উদার হতে হবে। আমরা কীভাবে আমাদের জীবন যাপনকে সমৃদ্ধ করতে এবং আমাদের কমিউনিটিকে আরও উন্নত করতে যথাযথ প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারি, সে সম্পর্কিত কথোপকথনও এর মধ্যে থাকবে৷ বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের লোকজনের সাথে সুস্থ সম্পর্ক গড়ে তুলতে সঠিক প্রযুক্তি ব্যবহার করার ব্যাপারে কথা বলা এবং এর পাশাপাশি নতুন জিনিস শিখতে ও উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নিতে তথ্যের সঠিক উৎস দ্রুত খুঁজে নিতে পারাও, এর মধ্যে পড়ে। আমাদের অনলাইন ও অফলাইন কাজকর্মের মধ্যে যথাযথ ভারসাম্য রাখাই হচ্ছে এর মূল কথা।
ডিজিটাল সিটিজেনশিপ কোয়ালিশন, সুস্থ ডিজিটাল নাগরিকদের 5টি পারদর্শিতা চিহ্নিত করেছেন যা আমাদের বাড়িতে ও স্কুলে শেখানো উচিত। আমাদের বাচ্চারা যাতে প্রযুক্তি ব্যবহারে ভারসাম্য রাখতে, সেই সম্পর্কে জানতে, সহনশীল হতে, এনগেজ হতে ও সতর্ক হতে শেখেন, এই পারদর্শিতা সেই বিষয়ে গুরুত্ব দেয়। আপনার পরিবারের ডিজিটাল সংস্কৃতি সম্পর্কে ভেবে দেখার সময়, এটি গুরুত্বপূর্ণ যে আপনার বাচ্চারা যেন কথোপকথনে অংশ নেন, আর তাদের নিজস্ব ডিজিটাল অভিজ্ঞতা যথাযথভাবে প্রকাশ করার সুযোগ পান। একজন কার্যকর ডিজিটাল নাগরিক হওয়ার উপযোগী সব বৈশিষ্ট্য মেনে চলা কেন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে, সে সম্পর্কে আলোচনা করুন। ভার্চুয়াল বিশ্বে সে যেমন আচারণের ভিত্তিতে তার নিজের ও অন্যদের জীবনে তিনি যে পার্থক্য তৈরি করতে পারেন তা দেখতে ও বুঝতে তাকে সাহায্য করুন।
একদিনের আলোচনায় কোনো পরিবারের প্রযুক্তিগত সংস্কৃতির পরিবর্তন ঘটে যায় না, তবে ধারাবাহিকভাবে কথোপকথন চলতে থাকলে তা ঘটতে পারে। আপনি যাতে শুরু করতে পারেন তার জন্য, আপনার নিজের কথোপকথন শুরু করায় সহায়তা করতে 5টি ডিজিটাল নাগরিকত্ব সম্পর্কিত পারদর্শিতার সাথে সংশ্লিষ্ট কয়েকটা কথোপকথন শুরু করার প্রম্পট এখানে দেওয়া হয়েছে;
ভারসাম্য বজায় রাখা
তুমি কোনো একটি অ্যাপ ব্যবহার করা কেন বন্ধ করতে পারো না, তার কয়েকটি কারণ কী?
এমন কি কখনো ঘটে যে কোনো নির্দিষ্ট ডিজিটাল অ্যাক্টিভিটিতে ব্যস্ত থাকতে গিয়ে আপনি আরও গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য কাজ করার সময় পান না?
ঠিক কোন সময়ে প্রযুক্তি ব্যবহার করা থেকে বিরতি নেবেন তা আপনি কীভাবে বুঝবেন?
দিনের কোন-কোন সময়ে আমাদের সবরকম ডিভাইস ব্যবহার করা থেকে দূরে থাকা উচিত?
কোন অ্যাপ বা ডিজিটাল অ্যাক্টিভিটিতে তোমার সময় দেওয়া উচিত, তুমি এই সিদ্ধান্ত কীভাবে নাও?
ভালোভাবে জানা
তুমি সম্প্রতি অনলাইন থেকে কী শিখেছ?
আপনি নতুন কিছু শিখতে চাইলে অনলাইনে তা শেখার জন্য আপনার প্রিয় জায়গাগুলো কী-কী?
আমরা অনলাইনে যেসব তথ্য পেয়ে থাকি তা যে বিভ্রান্তিকর বা ভুল, সেটা বুঝতে না পারলে কী ধরনের বিপদ হতে পারে?
কেউ ভুল তথ্য শেয়ার করলে আপনি কীভাবে তাতে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারেন?
তুমি যদি কোনো কিছু শেয়ার করার পরে সেটা যে সত্য নয় তা জানতে পারো, তখন তোমার কী করা উচিত?
সহনশীল
তুমি কি কখনও অনলাইনে এমন কিছু লিখেছে বা বলেছে যে কারণে পরে কখনো অনুতপ্ত হয়েছে?
আপনার কি কখনো এমন হয়েছে যে যাকে আপনি খুব সম্মান করেন অথচ তাকেই অনলাইনে এমন কিছু করতে বা বলতে দেখেছেন যা আপনাকে হতাশ করেছে?
আপনার কী মনে হয় অনলাইনে না কি ব্যক্তিগতভাবে কারুর প্রতি নির্মম ব্যবহার করা আরও সহজ হয়ে ওঠে?
আপনি কি ভাবতে পারেন যে এমন কিছু কারুর কাছ থেকে আপনি শিখেছেন অথচ তিনিই আপনার সাথে তাতে একমত নন?
তোমার কি কখনও অনলাইনে নিজেকে অবাঞ্ছিত বা অনাহুত মনে হয়েছে?
এনগেজ থাকা
তুমি কি কখনো অনলাইনে অন্য কোনো ব্যক্তিকে সাহায্য করার সুযোগ পেয়েছে?
আপনার স্কুলে একটাই সমস্যার সমাধান আপনি করতে পারেন, এমন হলে আপনি কোনটা করবেন?
আপনি কীভাবে প্রযুক্তির ব্যবহার করে সেই সমস্যার সমাধান করতে পারেন?
ধরুন কোনো নতুন অ্যাপ বিশ্বকে আরও উন্নত করে তুলবে এবং সেটা আপনিই উদ্ভাবন করে ফেললেন, তবে এটার কাজ কী হবে?
পারিবারিক স্মৃতি ও গল্প ধরে রাখতে তুমি কীভাবে প্রযুক্তির ব্যবহার করতে পারো?
অ্যালার্ট
কাউকে অনলাইনে অন্য কারুর প্রতি খারাপ ব্যবহার করতে দেখলে তুমি কী করবে?
কী-কী সতর্কতামূলক চিহ্ন দেখে বোঝা যায় যে কোনো ওয়েবসাইট বা অ্যাপ নিরাপদ নাও হতে পারে?
কেউ আপনাকে অনলাইনে এমন কিছু করতে বললে আর তাতে আপনি অস্বস্তি বোধ করলে আপনি কী করবেন?
আপনি অনলাইনে ঘটে যাওয়া কিছু নিয়ে চিন্তিত বোধ করলে, এই ব্যাপারে আপনি কার সাথে স্বচ্ছন্দে কথা বলতে পারবেন?
অনলাইনে সর্বদা নিরাপদ থাকতে পরিবার হিসাবে আমাদের কী করা উচিত?