নেতিবাচক অনলাইন অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রে কীভাবে আপনার সন্তানকে সহায়তা করবেন
UNICEF
20 নভেম্বর, 2024
আপনার সন্তানকে প্রতিক্রিয়া জানানোর ও সহায়তা করার 5টি পদক্ষেপ।
ডিজিটাল প্রযুক্তি অনেক শিশুর জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি শিক্ষা, সংযোগ এবং বিনোদনের একটি নতুন জগৎ খুলে দেয়। তবে অনলাইনে থাকার কিছু ঝুঁকিও আছে। শিশুরা অনলাইনে হেনস্থা, হয়রানি, অনুপযুক্ত কনটেন্ট দেখা, বা এমন অন্যান্য অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে পারেন যা তাদের অস্বস্তি, ভয় বা মানসিক কষ্টের মধ্যে ফেলতে পারে। যদি আপনার সন্তান অনলাইনে এই ধরনের অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়, তবে তাকে সাহায্য করার জন্য আপনি নিচের পাঁচটি পদক্ষেপ নিতে পারেন।
1। কোথাও কিছু ভুল হয়েছে তা চিনতে পারা
সমস্যার সম্মুখীন হলে প্রতিটি শিশুই যে সরাসরি নিজেদের অভিভাবকের কাছে যাবে, তা নয়। অভিভাবকদের কেউ কেউ হয়তো কোনো শিক্ষক বা অন্য কোনো শিশুর মা-বাবার কাছ থেকে প্রথম শুনতে পারেন যে অনলাইনে তাদের সন্তানের কোনো সম্ভাব্য খারাপ অভিজ্ঞতা হয়েছে। অন্যান্য অভিভাবকেরা তাদের সন্তানের ডিভাইসে অদ্ভুত বা অনুপযুক্ত মেসেজ, কমেন্ট বা ইমেজ দেখতে পারেন। আপনার সন্তান যদি সঙ্গে সঙ্গে আপনার কাছে না আসে, তাহলে বিরক্ত হবেন না বা রাগ করবেন না। যা ঘটেছে তার জন্য তিনি হয়তো লজ্জিত বা ভীত, অথবা আপনি কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবেন তা নিয়ে চিন্তিত থাকতে পারেন।
আপনার সন্তানের মধ্যে কোনো বিষয়ে চিন্তা বা দুঃখের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে কি না, তা লক্ষ্য করুন। আপনি আপনার সন্তানকে সবচেয়ে ভালোভাবে চেনেন, তাই অস্বাভাবিক কিছু হলে বুঝতে পারবেন, তবে সাধারণ লক্ষণগুলো হলো:
- মাথাব্যথা বা পেটব্যথা
- ঘুমের সমস্যা
- খিদে না হওয়া বা খাবারে অরুচি
- অকারণে দুঃখ, খিটখিটে মেজাজ, চিন্তা বা উদ্বেগ
- অনলাইনে সময় কাটানোর পর দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হওয়া
- ডিভাইস ব্যবহার এড়িয়ে যাওয়া বা অনলাইনে কী করছে তা অস্বাভাবিকভাবে গোপন রাখা
- স্কুলে যেতে ভয় পাওয়া বা সামাজিক পরিস্থিতি এড়িয়ে যাওয়া
UNICEF: শিশুদের মধ্যে দুশ্চিন্তার লক্ষণ চিহ্নিত করার উপায়
যদি আপনি সন্দেহ করেন যে কিছু ঘটেছে, তাহলে নিজের সন্তানকে মনে করিয়ে দিন যে তিনি সবসময় আপনার বা অন্য কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রাপ্তবয়স্কের সাথে কথা বলতে পারেন এবং আশ্বস্ত করুন যে আপনি যে কোনো পরিস্থিতিতেই তার পাশে থাকবেন।
2। আপনার সন্তানকে আশ্বস্ত করা
মা-বাবা যখন জানতে পারেন তার সন্তান অনলাইনে কিছু অনুপযুক্ত বা উদ্বেগজনক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন, তখন তার স্বাভাবিকভাবেই খারাপ লাগতে পারে। কিন্তু মনে রাখবেন, যদি আপনি শান্ত থাকেন এবং আপনার সন্তানকে বুঝতে দেন যে আপনি তার কথা শুনছেন বা তার পাশে রয়েছেন, তাহলে তিনি এখন ও ভবিষ্যতেও আপনার সাথে সরাসরি কথা বলতে পারবেন।
শান্ত থাকুন: প্রতিক্রিয়া জানানোর আগে একটি গভীর শ্বাস নিন। আপনার সন্তান আপনার প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করবেন, তাই আপনি যদি স্তম্ভিত হন, রেগে যান বা দুঃখিত হন তবুও শান্ত থাকার চেষ্টা করুন।
আপনার প্রথম প্রতিক্রিয়া হতে পারে আপনার সন্তানের ডিভাইস বা ইন্টারনেট অ্যাক্সেস কেড়ে নেওয়া যাতে তাকে নিরাপদ রাখা যায়, কিন্তু এমন প্রতিক্রিয়া তার কাছে শাস্তি মনে হতে পারে এবং ভবিষ্যতে সে আপনার কাছে আসতে আগ্রহী নাও হতে পারে।
শুনুন: আপনার সন্তানের প্রতি সম্পূর্ণ অ্যাটেনশন দিন, মনোযোগ সহকারে তার কথা শুনুন এবং তাকে ভালোভাবে ঘটনার বর্ণনা করতে দিন। সন্তানের উদ্বেগকে গুরুত্ব দিন, তার কথার মাঝে বাধা দেবেন না এবং হঠাৎ করে কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না।
যদি সন্তান আপনাকে কোনো অ্যাপ, গেম বা এমন কোনো শব্দ সম্পর্কে জানায় যার সাথে আপনি পরিচিত নন, তবে তাকে সেটি ব্যাখ্যা করতে বা দেখাতে বলুন। তাকে বলুন যে আপনি ভালোভাবে বুঝতে চান, যাতে নিজের সবটুকু ক্ষমতা দিয়ে তাকে সাহায্য করতে পারেন।
তাকে হ্যাঁ অথবা না দিয়ে উত্তর দেওয়া যায় না, এমন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন, যেমন: "আপনি কি আমাকে দেখাতে পারেন কী হয়েছে?", “এর ফলে আপনি কেমন অনুভব করেছেন?”।
সান্ত্বনা দিন: আপনার সন্তানকে জানিয়ে দিন যে সে আপনাকে জানিয়ে সঠিক কাজ করেছে এবং আপনি রাগ করেননি। তাকে সান্ত্বনা দিন যে আপনি সাহায্য করার সম্পূর্ণ চেষ্টা করবেন।
উদাহরণ: "আমি খুশি যে তুমি আমাকে এটি জানিয়েছো। এতে তোমার দোষ নেই, আমি তোমার পাশে আছি। চলো, আমরা একসাথে এটির সমাধান করি।"
3। পদক্ষেপ নেওয়া
পরিস্থিতি অনুযায়ী, হয়তো আপনার সন্তানের শুধু কথা বলার মতো কাউকে প্রয়োজন। যদি আরও গুরুতর কিছু ঘটে থাকে, তবে যে অ্যাপে ঘটনাটি ঘটেছে সেই অ্যাপটিতে, আপনার সন্তানের স্কুলে অথবা পুলিশের কাছে পরিস্থিতিটি সম্পর্কে অভিযোগ জানাতে হতে পারে।
মিউট করা, ব্লক করা, অভিযোগ জানানো? আপনার সন্তানের সাথে কথা বলে বুঝুন, তিনি পরিস্থিতি সামলানোর জন্য কী ধরনের পদক্ষেপ নিতে চান। উদাহরণ, তার কি কোনো ব্যক্তিকে মিউট, ব্লক করা উচিত না কি তার বিষয়ে রিপোর্ট করা উচিত।
বেশিরভাগ সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ, গেম ও অন্যান্য অ্যাপগুলোতে নিরাপত্তা ও অভিযোগ জানানোর ফিচার রয়েছে, যা পরিস্থিতি খারাপ হলে কাজে আসতে পারে। শিশুরা (এবং প্রাপ্তবয়স্করাও) হয়তো জানেন না কী কী ফিচার উপলভ্য আছে ও সেগুলো কীভাবে কাজ করে। তাই একসাথে বিভিন্ন বিকল্প এক্সপ্লোর করুন এবং কোনটি কীভাবে কাজ করে তা আলোচনা করুন।
আপনার সন্তান যে অ্যাপগুলো ব্যবহার করে এবং যে নতুন অ্যাপগুলো ডাউনলোড করবে, সেগুলোতে কীভাবে ইউজার ও কনটেন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়, কীভাবে প্রোফাইল মিউট বা ব্লক করতে হয়, আপনার সন্তানের জন্য সেটা জানাও গুরুত্বপূর্ণ, যাতে এই সচেতনতা প্রয়োজনে ভবিষ্যতে কাজে লাগাতে পারে।
প্রমাণ ডকুমেন্ট করে রাখা: আপনি প্রাথমিক প্রতিক্রিয়াতে হয়ত সন্তানের খারাপ অভিজ্ঞতার সাথে সম্পর্কিত সব কিছু মুছে ফেলতে চাইবেন। কিন্তু যদি আপনি ঘটনাটির বিষয়ে অভিযোগ জানানোর কথা ভাবেন, তাহলে ঘটনাটি স্পষ্ট করতে সাহায্য করতে পারে এমন যে কোনো মেসেজ, ইমেজ বা পোস্ট সেভ করে রাখা বা স্ক্রিনশট নিয়ে রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
রিসোর্স: Meta অ্যাপগুলোতে অভিযোগ জানানো ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত যেসব রিসোর্স আছে, সেগুলো এখানে দেওয়া হলো।
Take it Down ওয়েবসাইটটি যে কোনো অন্তরঙ্গ ইমেজ সরিয়ে দেওয়ার উপায় সম্পর্কে নির্দেশিকা দেয়।
যদি আপনি কোনো সমস্যার বিষয়ে কোনো কোম্পানির কাছে অভিযোগ জানান এবং কোনো প্রতিক্রিয়া না পান বা মনে করেন যে সমস্যাটির সমাধান হয়নি, তবে অভিযোগটি আরও উচ্চতর কর্তৃপক্ষকে জানানোর কথা বিবেচনা করুন। Facebook ও Instagram-এ, আপনি নিজের অভিযোগের স্ট্যাটাস দেখে নিতে পারেন এবং প্রয়োজন হলে সিদ্ধান্তটি অতিরিক্ত রিভিউ করার অনুরোধ করতে পারেন। মনে রাখবেন যে এই কোম্পানিগুলোর শিশুদের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নেওয়ার দায়িত্ব রয়েছে।
স্কুল: যদি ঘটনাটি আপনার সন্তানের স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাথে সম্পর্কিত হয়, তাহলে আপনাকে স্কুলের সাথে কথা বলতে হতে পারে। আপনি যেসব প্রমাণ সংগ্রহ করেছেন তা শেয়ার করুন এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করুন যে তারা কীভাবে এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাবেন, যাতে আপনার সন্তান আরও প্রতিকূল পরিস্থিতিতে না পড়ে। অহিংসামূলক শাস্তিই কাম্য এবং আচরণ সংশোধনের উপর জোর দেওয়া উচিত (কাউকে লজ্জিত করা বা শাস্তি দেওয়া নয়)।
যদি আপনার সন্তানের স্কুলে কোনো কাউন্সেলার থাকেন, আপনি তার সাথে সন্তানের অভিজ্ঞতা নিয়ে আলোচনা করতে পারেন, যাতে তাকে সঠিকভাবে সহায়তা করার সেরা উপায় নির্ধারণ করা যায়।
পুলিশ অথবা জরুরি পরিষেবা: যদি আপনার সন্তানের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো উদ্বেগ থাকে, তবে নির্দ্বিধায় কর্তৃপক্ষ বা স্থানীয় শিশু সুরক্ষা সংস্থার সাথে যোগাযোগ করুন, যারা তৎক্ষণাৎ সাহায্য করতে পারবে।
4। প্রফেশনাল সহায়তা কখন নেওয়া উচিত
কোনো অনুপযুক্ত বা ক্ষতিকর অভিজ্ঞতা গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করতে পারে।
আপনার সন্তানের সাথে নিয়মিত তার অনুভূতি নিয়ে কথা বলুন, তার সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন, তবে ঘটনাটি নিয়ে সরাসরি আলোচনা করবেন না। তাদেরকে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করা থেকে দূরে রেখে অন্য কোনো ভালো কার্যকলাপ খুঁজে বের করতে সাহায্য করুন, যেমন বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো, বই পড়া, খেলাধুলা করা বা কোনো বাদ্যযন্ত্র শেখা।
যদি আপনি আপনার সন্তানের আচরণ বা মেজাজে এমন পরিবর্তন লক্ষ্য করেন যা বেশ কিছুদিন স্থায়ী রয়েছে, তবে কোনো প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারীর পরামর্শ নিন।
অনেক দেশেই একটি বিশেষ হেল্পলাইন থাকে, যার মাধ্যমে আপনার সন্তান বিনামূল্যে ফোন করে বেনামে কারোর সাথে কথা বলতে পারেন। আপনার দেশে সাহায্য পাওয়ার জন্য Child Helpline International বা United for Global Mental Health দেখুন।
UNICEF: কখন আপনার কিশোর-কিশোরী সন্তানকে মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সহায়তা খুঁজে বের করতে সাহায্য করা উচিত
5। ভবিষ্যতে আপনার সন্তানকে সুরক্ষিত রাখতে কীভাবে সাহায্য করবেন
ডিজিটাল যুগে শিশুদের লালন-পালন করা সহজ নয় এবং অনলাইনে খারাপ অভিজ্ঞতা আপনাকে ও আপনার সন্তানকে শঙ্কিত করে তুলতে পারে। যে ঘটনা ঘটেছে, সেটিকে একটি সুযোগ হিসাবে ব্যবহার করার চেষ্টা করুন যাতে সন্তানের সাথে একসঙ্গে অনলাইনে নিরাপদ থাকার উপায়গুলো আলোচনা করা যায় এবং এই ধারণা দিন যে আপনি সবসময় তাকে যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সাহায্য করবেন।
আপনার পরিবারের নিয়মগুলো আবার আলোচনা করুন: আপনার সন্তানের সাথে কথা বলে দেখুন তিনি কার সাথে এবং কীভাবে যোগাযোগ করেন, কে তার পোস্ট দেখতে পারেন এবং তিনি কোন প্ল্যাটফর্ম বা কনটেন্ট অ্যাক্সেস করতে পারেন। তাকে মনে করিয়ে দিন যে তার নিরাপত্তা এবং কল্যাণই আপনার সবচেয়ে বড় চিন্তার বিষয় এবং তিনি যে কোনো প্রশ্ন বা উদ্বেগ নিয়ে সবসময় আপনার কাছে অথবা অন্য কোনো বিশ্বস্ত প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির কাছে যেতে পারে।
ছোটো শিশুদের জন্য: সুনিশ্চিত করুন যে অ্যাপ ও গেমগুলো আপনার সন্তানের জন্য বয়স ও বিকাশের দিক থেকে উপযুক্ত। আপনার ইন্টারনেট প্রোভাইডার এবং ডিভাইসগুলোর পেরেন্টাল কন্ট্রোল (মা-বাবার কাছে থাকা নিয়ন্ত্রণ) ও সেটিংস দেখে নিন, যাতে অনুপযুক্ত কনটেন্ট ব্লক করা যায় এবং নির্দিষ্ট অ্যাপ বা ওয়েবসাইট অ্যাক্সেস করা সীমিত করা যায়।
কিশোর-কিশোরীদের জন্য: তাদের ফেভারিট প্ল্যাটফর্ম, অ্যাপ ও গেমের নিরাপত্তা সেটিংস একসঙ্গে এক্সপ্লোর করুন। আপনার যে কোনো উদ্বেগ সম্পর্কে তাদের জানান এবং তারা কী বলতে চান তা শুনুন।
UNICEF: আপনার পরিবারের জন্য সুস্থ ডিজিটাল অভ্যাস তৈরি করার 10টি উপায়
ফ্যামিলি সেন্টার থেকেFacebook ও Instagram-এ থাকা তত্ত্বাবধান, নিরাপত্তা এবং কল্যাণমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে আরও জানুন।
প্রাইভেসি সেটিংস দেখুন:আপনার সন্তান অ্যাক্সেস করে এমন যে কোনো ডিভাইস, সোশ্যাল মিডিয়া, গেম ও অন্য কোনো অনলাইন অ্যাকাউন্টের প্রাইভেসি সেটিংস রিভিউ করুন। প্রাইভেসি সেটিংস এমনভাবে সেট করা উচিত যাতে ন্যূনতম ডেটা সংগ্রহ করা হয় এবং ডিভাইসগুলো সর্বশেষ সফটওয়্যারে আপডেট করা থাকে।
ছোটো শিশুদের জন্য: দেখুন যাতে শুধুমাত্র বন্ধুবান্ধব বা পরিবারের সদস্যরাই তাদের সাথে অনলাইনে যোগাযোগ করতে পারেন।
কিশোর-কিশোরীদের জন্য: তাদের ফেভারিট প্ল্যাটফর্মে কী কী প্রাইভেসি সেটিংস উপলভ্য আছে, তা একসাথে দেখুন। তাদের উৎসাহিত করুন যেন তারা নিয়মিতভাবে এই প্রাইভেসি সেটিংস প্রয়োজনমত রিভিউ ও সামঞ্জস্য করেন।
UNICEF: মা-বাবার জন্য প্রাইভেসি চেকলিস্ট
Facebook, Instagram এবং Meta Horizon-এ প্রাইভেসি সেটিংস সম্পর্কে আরও জানুন এবং Facebook-এর প্রাইভেসি চেকআপ-এর মতো টুল ব্যবহার করে দেখুন।
সূক্ষ্ম চিন্তায় সহায়তা করুন: আপনার সন্তানের সাথে অনলাইনে সন্দেহজনক বা ক্ষতিকর আচরণ শনাক্ত করা নিয়ে কথা বলুন। নিশ্চিত করুন যাতে তিনি এটা বোঝেন যে সবার মর্যাদা ও সম্মান পাওয়ার অধিকার আছে, এবং বৈষম্যমূলক বা অনুপযুক্ত আচরণ কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়।
ছোটো শিশুদের জন্য: বুঝিয়ে বলুন যে অনলাইনে সবাই বিশ্বাসযোগ্য নন এবং আমরা কার সাথে যোগাযোগ করছি ও কিসে ক্লিক করছি সে বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত। তাদেরকে মনে করিয়ে দিন, যদি কখনো তাদের মনে হয় যে কিছু “ভুল” হচ্ছে, তাহলে যেন তারা আপনাকে জানান, যাতে আপনারা একসাথে সমস্যাটির সমাধান করতে পারেন।
কিশোর-কিশোরীদের জন্য: তাদের ক্রমবর্ধমান স্বাধীনতা এবং ভালো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাকে সমর্থন করার উপায় খুঁজুন। তারা অনলাইনে যা দেখে এবং যা শেয়ার করে, সে বিষয়ে চিন্তা করতে উৎসাহিত করুন। তাদের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে চান—তারা কি কখনো অনুভব করেছেন যে অনলাইনে ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার জন্য তাদের উপর চাপ দেওয়া হচ্ছে, বা তারা কি এমন কাউকে চেনেন যাকে এ ধরনের পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে? অনলাইনে কোনো সমস্যাজনক আচরণের মুখোমুখি হলে, তারা কী করবেন?
সংযুক্ত থাকুন: প্রযুক্তি প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে এবং আপনার সন্তান বড় হওয়ার সাথে সাথে তার অনলাইন অ্যাক্টিভিটিও পরিবর্তিত হচ্ছে। পরিবার হিসাবে একসঙ্গে নতুন প্ল্যাটফর্ম, গেম এবং অ্যাপ এক্সপ্লোর করুন। কোনটি কীভাবে কাজ করে তা একসঙ্গে জানুন, প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করুন, নতুন কিছু জানুন ও আনন্দ করুন।
আপনার সন্তানের অনলাইন জীবনের সক্রিয় অংশ হওয়া কেবল ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে তাকে সাহায্য করে না, বরং প্রতিটি সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে শেখায়।
এই আর্টিকেলটি UNICEF-এর সহযোগিতায় তৈরি করা হয়েছে। অভিভাবকত্ব সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের আরও পরামর্শ এবং গাইডেন্সের জন্য, UNICEF পেরেন্টিং-এ যান।
UNICEF কোনো কোম্পানি, ব্র্যান্ড, প্রোডাক্ট বা পরিষেবা সমর্থন করে না।
সম্পর্কিত রিসোর্স
ব্ল্যাকমেইল (সেক্সটরশন) বন্ধ করা: অভিভাবকদের জন্য পরামর্শ | Thorn (থর্ন)
আরও পড়ুন
