আসলে এই সবকিছুর পিছনেই একটি সহজ নিয়ম রয়েছে: ছবিতে থাকা ব্যক্তি (বা লোকেরা) এটা শেয়ার করতে ইচ্ছুক কি না, সেই বিষয়ে সম্পূর্ণ নিশ্চিত না হলে, এটা শেয়ার করা উচিত নয়।
সমস্যা হলো কোনো নিয়ম সুস্পষ্ট হলেও, এই নিয়ম কেন না মানলেও চলে, সেই অজুহাত খুঁজে বার করতে মানুষ পারদর্শী। একে বলা হয় নৈতিক বিচ্ছিন্নতা এবং এটি কিশোর-কিশোরীদের অন্তরঙ্গ ছবি শেয়ার করার সম্ভাবনা বাড়াতে পারে।এই কারণেই উল্লিখিত নিয়মের পাশাপাশি, আমাদের চারটি প্রধান নৈতিক বিচ্ছিন্নতা প্রক্রিয়ার সরাসরি মোকাবিলা করতে হবে:কারো অন্তরঙ্গ ছবি শেয়ার করা ক্ষতিকারক তা অস্বীকার করা।তার মতে: "কোনো নিউড ছবি শেয়ার করা বড় ব্যাপার নয়, যদি সেটি অন্য কেউ ইতিমধ্যেই দেখে থাকেন।"আপনি বলবেন: যতবার তুমি কোনো অন্তরঙ্গ ছবি শেয়ার করবে, ততবারই তুমি সেই ছবিতে থাকা ব্যক্তিকে কষ্ট দেবে। এটা গুরুত্বপূর্ণ নয় যে তুমি এই ছবি শেয়ার করা প্রথম ব্যক্তি নাকি শততম।অন্তরঙ্গ ছবি শেয়ার করার ভালো দিকও আছে তা বলে শেয়ার করার বিষয়টি সমর্থন করা।তার মতে: "কোনো মেয়ের ছবি শেয়ার করা হলে, অন্য মেয়েরাও সেটি পাঠানোর ঝুঁকি বুঝতে পারে।"আপনি বলবেন: একটি ভুল কাজের প্রতিকার হিসাবে আরেকটি ভুল কাজ করা যায় না! কাউকে মানসিক কষ্ট না দিয়েও বিভিন্ন উপায়ে দেখানো যায় যে অন্তরঙ্গ ছবি পাঠানো অনুচিত কাজ। (আর তাছাড়া, কাউকে অন্তরঙ্গ ছবি পাঠাতে নিষেধ করাটা তোমার কাজের মধ্যে কীভাবে পড়ে?)নিজের দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়া।তার মতে: "যদি আমি শুধু একজনের সাথে কোনো নিউড ছবি শেয়ার করি এবং তারপরে সে যদি অন্যদের সাথে ছবিটি শেয়ার করে, তাহলে সেটা ঠিক আমার দোষ নয়।"আপনি বলবেন: কেউ তোমাকে অন্তরঙ্গ ছবি পাঠালে, তোমার কাছে সেটা ব্যক্তিগত হিসাবেই থাকবে বলে সে বিশ্বাস করে। এমনকি আর একজনের সাথে সেটি শেয়ার করলেও, তা বিশ্বাসঘাতকতা।ঘটনার শিকার হওয়া ব্যক্তিকে দোষারোপ করা।তার মতে: "ব্রেকআপের পরে কোনো মেয়ের ছবি শেয়ার করা হলে এতে তার আশ্চর্য হওয়ার কথা নয়।"আপনি বলবেন: "ছেলেরা এরকমই হয়" বা মেয়েটির "আগেই এটি জানা উচিত ছিল" ধরনের অজুহাত দেখাবে না। তুমি কোনো অন্তরঙ্গ ছবি পেলে, তা শেয়ার করার বিষয়ে বন্ধুবান্ধব ও সমবয়সীদের থেকে অনেক চাপ আসতে পারে, কিন্তু কেউ যদি তোমাকে এমন কিছু পাঠায় এবং তার অনুমতি ছাড়াই যদি তুমি তা শেয়ার করো, তাহলে তুমিই দোষী।ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে দোষারোপ করাও অন্যতম কারণ, তাই কিশোর-কিশোরীদের অন্তরঙ্গ ছবি পাঠানোর পরিণতির ভয় না দেখিয়ে কেন সেটি পাঠানো উচিত নয় সেই বিষয়ের উপর জোর দেওয়ার প্রয়োজন। দুটো ক্ষেত্রেই কিশোর-কিশোরীরা যে শেয়ার করছেন তার পরিবর্তে, প্রেরককে দোষারোপ করেন। এর পরিবর্তে, কেউ অন্তরঙ্গ ছবি পাঠালে আপনার কিশোর-কিশোরী সন্তান যেন সবসময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন সেটি নিশ্চিত করুন।