কীভাবে ডিপফেক চিহ্নিত করবেন
প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে ডিপফেকও যেহেতু ক্রমশই বাস্তবসম্মত হয়ে উঠছে, তাই তা শনাক্ত করার সময় প্রায়শই ফটো বা ভিডিও কনটেন্টের কিছু তথ্য সতর্কভাবে দেখা হয় (যেমন, চোখের পলক স্বাভাবিকভাবে না পড়া)। জুম করে মুখ, ঘাড়/কলার বা বুকের চারপাশে অস্বাভাবিক বা ঝাপসা প্রান্ত আছে কি না, তা খুঁজে দেখলে সেটা খুব ভালো করে বোঝা যেতে পারে। অধিকাংশ সময়, এই সব জায়গাতেই আসল কনটেন্ট আর সুপারইম্পোজ করা কনটেন্টের মধ্যে অসঙ্গতি ও অমিল দেখা যায়।
ভিডিওর ক্ষেত্রে, ভিডিও ক্লিপের গতি কম করে কথা বলার সময় ঠোঁটের স্বাভাবিক নড়াচড়া বা ভিডিওর স্বাভাবিক ঝাঁকুনির মতো কিছু দৃশ্যগত অসঙ্গতি লক্ষ্য করা যেতে পারে। এছাড়াও, ভিডিওর কোনো অংশে আবেগের অভাব দেখা যাচ্ছে কি না, তা নজর রাখুন। যেমন, ভিডিওতে কোনো কথা বলার অংশে সঠিক আবেগ না থাকা, কোনো শব্দের ভুল উচ্চারণ হচ্ছে বলে মনে হওয়া বা অন্য কোনো অদ্ভুত অসঙ্গতি দেখতে পাওয়া। সব শেষে, ফটোতে (বা ভিডিওর স্ক্রীনশটে) 'রিভার্স ইমেজ সার্চ' পদ্ধতি ব্যবহার করলে জানতে পারবেন যে মূল ভিডিও পরিবর্তন করার আগে তা কেমন ছিল। তা করার সময়, কোন অংশ ম্যানিপুলেট বা কারসাজি করা হয়েছে তা বুঝতে কনটেন্টের দুটি অংশ সতর্কতার সাথে তুলনা করুন। এই পরামর্শগুলোর মূল বিষয় হলো, নিজের অনুভূতির উপর ভরসা রাখা; কারণ কোনো বিষয়বস্তু ধীরে খুব মনোযোগ দিয়ে দেখলে ও শুনলে, কোনো ভুল থাকলে সাধারণত তা ধরা যায়।